দেশের বাজার চাহিদা মেটাতে যে সব পণ্য আমদানি করা হয়, বছরজুড়ে সেই তালিকার প্রথম দিকে থাকে পাম ও সয়াবিন তেল। এই দুই ভোজ্যতেলের মধ্যে আবার পামতেলের জোগান প্রায় ৭০ শতাংশ। মূলত সরাসরি খাদ্য প্রক্রিয়া, শিল্পের কাঁচামাল ও দাম কম হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। নতুন বছরের শুরুতে সুখবর দিচ্ছে এই ভোজ্যতেলের বিশ্ববাজার।
পণ্য লেনদেনের কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বুশরা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভসের তথ্য, ২০২৫ সালের প্রথম মাস, জানুয়ারিতে সরবরাহ করতে হবে; এমন চাহিদার প্রতিমেট্রিক টন পামতেল বর্তমানে বেচাকেনা হচ্ছে ৪৮৬৩ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা ১০৮৪.৪৫ মার্কিন ডলারে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষ মাস- মার্চে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রতি মেট্রিক টন পামতেলের দাম পড়ছে ৯৯১ ডলার।
বুশরার তথ্য, কমতির এই ধারা অব্যাহত রয়েছে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত। আগস্টে সরবরাহ করতে হবে এমন চাহিদার প্রতি মেট্রিক টন পাম তেল ৯১০.৯৬ ডলারের কেনা-বেচা হচ্ছে। এর পরের মাস থেকে রয়েছে ওঠানামার মধ্যে। চলতি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে সরবরাহ করতে হবে এমন চাহিদার প্রতি মেট্রিক টন পামতেল বেচাকেনা হচ্ছে ৯১২ ডলারে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে গম কিনবে সরকার, ব্যয় ১৭১ কোটি টাকা
চিনির বিশ্ববাজারও দিচ্ছে সুখবর। ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের দৈনিক হালনাগাদ তথ্য, সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখে বিশ্ববাজারে প্রতি মেট্রিক টন যে চিনি কেনা-বেচা হয়েছে ৫৫২.৪০ মার্কিন ডলারে, লাগাতার কমতে কমতে সেই চিনি ৩০ ডিসেম্বর এসে বিক্রি হয়েছে ৫০৪ দশমিক পাঁচ শূন্য ডলার পার মেট্রিক টন হিসাবে। অর্থাৎ এ ২৭ দিনে এই পণ্যের দাম প্রতি মেট্রিক টনে কমেছে প্রায় ৪৮ ডলার।
এদিকে দাম ওঠানামায় ২০২৪ সাল জুড়ে বেশ অস্থিরতা দেখা গেছে গমের বিশ্ববাজার। তবে বছরের শেষ কয়েক দিন, ২৫ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার দাম বাড়ছে এই পণ্যটির। ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববাজারে প্রতি মেট্রিক টন গম বেচাকেনা হয়েছে ৫৪৯.৭৫ ডলারে। সদ্য সমাপ্ত বছরে এই পণ্যটির দাম ছিল সর্বোচ্চ ২৪ মে, ৭১৫ ডলার পার মেট্রিক টন। সেই হিসাবে, গত বছরের শেষ দিকে এসে প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম বিশ্ববাজারে কমেছে ১৬৪ ডলার।
]]>