মুখে চওড়া হাসি নিয়েই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মেয়েদের মুখে এমন চওড়া হাসির কারণটাও স্পষ্ট, বাছাইপর্বের বাধা উতরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেই ঢাকায় পা রাখলেন জ্যোতি-রিতুরা। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে দেশে ফিরেছে টাইগ্রেসরা।
বাছাইপর্বের শুরুটা দারুণ করেছিলো বাংলাদেশ। শুরুর তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পায় টাইগ্রেসরা। তবে শেষ দুই ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপে যাওয়ার সমীকরণটা কঠিন করে ফেলে মেয়েরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬৭ রানে অলআউট হয় থাইল্যান্ড। প্রথম ইনিংস শেষে আইসিসির ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়, ১৬৭ লক্ষ্যটা ১০.১ ওভারে স্পর্শ করলেই বিশ্বকাপে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আর বাদ পড়বে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সব শঙ্কা উড়িয়ে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের
লক্ষ্যটা ১১ ওভারেও নেয়া সম্ভব। তবে সেজন্য শুরুতে ১৬৬ রান করতে হতো তাদের। এরপর ছক্কা মেরে ১৭২ রান করতে পারলে ১১ ওভারে ম্যাচ জিতলেও মূল পর্বে চলে যেতো ক্যারিবীয় মেয়েরা। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যায় বাংলাদেশই।
থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এই কঠিন সমীকরণটাও প্রায় মিলিয়েই ফেলেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত রানরেটের মারপ্যাঁচে পিছিয়ে পড়ে তারা।
বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী দল। বিমানবন্দরে নেমেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের লক্ষ্য দিতে চায় বাংলাদেশ
জ্যোতি বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে ভালোই করেছিলাম। যেহেতু শেষ দিকে ওই সুযোগটা ছিলো আমরা কোয়ালিফাই করতে পারবো। শুরুতে আমরা ভালো চেষ্টা করেছি, তো প্রথম তিন ম্যাচে ভালো করার ফলেই আমরা সুযোগ পেয়েছি। তবে দুইটা ম্যাচ ভালো করতে পারিনি। থাইল্যান্ডের রান দেখে মনে এতটুকু বিশ্বাস ছিলো যে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে, তাদের যে টার্গেট ছিলো হিউজ। তো তারা যেভাবে করেছে, আল্লাহ কপালে না রাখলে হতো না।’
বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার পর এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমি আমাদের নারী দলকে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০২৫-এ খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। পর্দার আড়ালে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য কোচিং স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
]]>