বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিলো পাকিস্তান

১ সপ্তাহে আগে
লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরার পর দক্ষিণ আফ্রিকা আরও দুটি ম্যাচ খেলেছিল। তবে সেই ম্যাচে তুলনামূলক কম শক্তিশালী জিম্বাবুয়ে তাদের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রোটিয়াদের জন্য সত্যিকার অর্থে পরীক্ষা অপেক্ষা করছিলো পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোর টেস্টে। লাহোরের পরীক্ষায় ‘নোমান আলী’ নামক প্রশ্নের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে তারা।

লাহোরের স্পিন দূর্গে প্রোটিয়ারা প্রথম ইনিংসে যে রান করেছিল, লক্ষ্যটা ছিল তার চেয়েও বেশি। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের ৩৭৮ রানের জবাবে ২৬৯ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা লক্ষ্য পায় ২৭৭ রানের। নোমান আলী ও শাহিন শাহ আফ্রিদির বিরুদ্ধে এইডেন মারক্রাম বাহিনী এই লক্ষ্য অর্জন করবে দূরের কথা, কাছাকাছিও যেতে পারেনি। ১৮৩ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে ৯৩ রানে।


দক্ষিণ আফ্রিকার নিভু নিভু শেষ আশাটুকু বেঁচে ছিলো শেষ স্বীকৃত ব্যাটার কাইল ভেরাইনে উইকেটে থাকা পর্যন্ত। ১২৮ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে নেমেছিলেন তিনি। তখন ৫৪ বলে ৫৪ রানের একটা ঝড় তুলে আউট হন দেওলাদ ব্রেভিস। ভেরাইনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ করা রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে ৬, সেনুরান মুথুসামির সঙ্গে ১০ ও সিমন হারমারের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়ে ১৯ রানে আউট হন।


আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে দুই আফগান


স্পিন দূর্গেও নোমান আলীকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। টনি ডি জর্জির (ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান, প্রথম ইনিংসে ১০৪) উইকেট নেওয়ার পর ভেরাইনেরটিও তিনিই নেন। এরপর ফেরান প্রেনেলান সুব্রায়েন ও কাগিসো রাবাদাকে। আগের ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া নোমানও এই ইনিংসে শাহিনের মতো ৪ উইকেট নেন। ১০ উইকেট শিকার করে তিনিই হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়।


ম্যাচের ভাগ্য যে স্পিনাররাই গড়ে দেবেন, তা আগে থেকেই অনেকে আন্দাজ করেছিলেন। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে পেসারদের মধ্যে কাগিসো রাবাদা একটি উইকেট পেয়েছিলেন, পরের ইনিংসেও তা-ই। আর আজ আফ্রিদি পেলেন ৪টি। বাকি সব কটি উইকেট গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। সেনুরান মুথুসামি ১১, সিমন হারমার ৫ ও সাজিদ খান ৫টি উইকেট নিয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন