বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ৩ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেফতার

যশোরে অপহরণের পর বিয়ের আশ্বাসে তিন বছর আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাহিদ হাসান বাঁধন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী তরুণী মামলা করলে শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

 

আজ রোববার (১১ মে) অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আটক নাহিদ হাসান বাঁধন যশোর সদর উপজেলার নালিয়া পূর্বপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

 

মামলায় ওই তরুনী উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালে তিনি যশোর শহরের একটি স্কুলে ১০ শ্রেণীতে লেখাপড়া করতেন। ওইসময় স্কুলে আসা যাওয়ার সময় নাহিদ তাকে উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রাজী না হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন নাহিদ।

 

আরও পড়ুন: শহীদ কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলায় পলাতক ইমরান মুন্সি গ্রেফতার

 

পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওই তরুণীকে অপহরণ করে জেসগার্ডেন পার্ক এলাকায় নিয়ে যায় নাহিদ। এরপর তাকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দেড় বছর একইসঙ্গে ওই বাড়িতে বসবাস করেন তারা। স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে থাকার পর সেখান থেকে বাহাদুরপুর বাঁশতলায় ভাড়াবাড়িতে উঠেন। স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে সেখানেও বসবাস শুরু করেন। এসময় নাহিদকে বিয়ের কথা বললে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকেন।

 

একপর্যায় ওই তরুণীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় নাহিদ। সবশেষ গত ২মে ওই তরুনী নাহিদের গ্রামের বাড়িতে যেয়ে বিয়ের দাবি জানান। এসময় নাহিদ বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন। শুধুই তাই না, নাহিদসহ তার পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে মারপিট করে জখম করে তাড়িয়ে দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই তরুনী থানায় অভিযোগ করেন।

 

যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই দেবাশীষ হালদার জানান, শনিবার ওই তরুণীর ধর্ষণ মামলা পাওয়ার পর নাহিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আজ আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

]]>