সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারলাইন্সের বিমান ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে চাকা ছাড়াই জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ের দেয়ালে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। এ দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ১৮১ জন যাত্রীর ১৭৯ জনই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মাত্র দুজন ক্রু।
আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বস্ত, দুর্ঘটনাস্থলে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পরদিনই দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান পরিচালনার সার্বিক ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে নিরীক্ষার আদেশ দিলেন মোক। সিউলে আয়োজিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে চোই বলেছেন, চূড়ান্ত ও আনুষ্ঠানিক ফল জানার আগেই, প্রয়োজনে নিহতদের স্বজনদের কাছে স্বচ্ছভাবে তদন্তের তথ্য প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন,পুনরুদ্ধার সম্পন্ন হতেই দেশের সার্বিক উড়োজাহাজ ব্যবস্থাপনাতে জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা নিরীক্ষা করে দেখার জন্য পরিবহন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা: দুজন বাদে সবাই নিহত
চলতি মাসের শুরুর দিকে সামরিক আইন প্রয়োগের জেরে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্থলাভিষিক্ত হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু। পরবর্তী সময়ে তার ওপরও আস্থা হারিয়ে অভিশংসন প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। এরপর দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন চোই সাং মোক। তিনি মাত্র তিনদিন আগে দায়িত্ব নিয়েছেন।
]]>