বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

৬ দিন আগে
আবারও আলোচনায় বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যু। ২০১২ সালে ফিক্সিংয়ের ভয়াল থাবায় কলঙ্কিত হয়েছিল দেশের ক্রিকেট। এক যুগ পর আবারও সেই একই সমস্যার মুখোমুখি টাইগার ক্রিকেট। বিপিএলের গত আসরে একাধিক ক্রিকেটার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিক্সিংয়ে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে এ সম্পর্কিত তদন্ত কমিটি। তবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না পাওয়ার আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

এশিয়া কাপ এবং নেদারল্যান্ডস সিরিজের জন্য ক্যাম্প করতে আজ (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে বিসিবির কর্তাদের সঙ্গে আজ একটি বৈঠক করেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়া থেকে কেবলই দেশে ফেরা বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও ছিলেন সভায়।  

 

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ড কর্তাদের এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে বের হয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি। সেখানে ফিক্সিং ইস্যু উঠলে বুলবুল বলেন, 'প্রতিবেদনটা (ফিক্সিংয়ের তদন্ত প্রতিবেদন) এখনও আসেনি। সামনের সপ্তাহে আসার কথা রয়েছে। আসার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।'  

 

ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধ ঠেকাতে বিসিবির পদক্ষেপ সম্পর্কে বুলবুল বলেন, 'আমরা স্যার অ্যালেক্স মার্শালের সঙ্গে শতভাগ চুক্তিবদ্ধ। আমাদের এই খেলাকে বাঁচাতে হবে। আমাদের ছেলেরা-মেয়েরা যাতে ক্রিকেট খেলে, সেটা প্রধান লক্ষ্য। এখানে আমাদের চার্টার আছে সেখানে ক্রিকেট ইন্টিগ্রেট এডুকেশন রেখেছি। দেশের যত ক্রিকেটার খেলবে, ক্রিকেটের যত অফিশিয়াল আছে তাদেরকে আমরা এই শিক্ষাটা দেব যাতে তারা জানবে বাংলাদেশের আইন, ইসলামিক আইন, ধর্মীয় আইন-মূল্যবোধ সবকিছু মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করব খেলাটাকে কীভাবে বাঁচানো যায়।'  

 

আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যাট দিয়ে পাওয়ার হিটিং শেখাচ্ছেন উড, কার্যকারিতা সম্পর্কে জানালেন জাকের

 

এদিকে, বিসিবি কর্তাদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিত থাকা এক সদস্য। ক্রিকেটারদের চিকিৎসা সেবা, ভেন্যু বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। বিসিবি সভাপতি নিজেই সেখানে ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। মেডিকেল বিভাগ থেকেও একটি প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়েছে।  

 

এছাড়া, মিরপুর স্টেডিয়ামের কাছাকাছি একটি সুইমিংপুল স্থাপন করা যায় কিনা সেই চেষ্টার কথা হয়েছে। আগামী বছর ডিপিএলের খেলা রমজান মাসে পড়বে। তাই সাভারে খেলা অনেকের জন্যই দূরে হয়ে যায়। ঢাকার বাইরে ভেন্যু করা যায় কিনা সেই আলোচনাও হয়েছে এই বৈঠকে।

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন