মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ চিটাগাংয়ের বিপক্ষে ২০৫ রান ডিফেন্ড করতে নেমে প্রথম ওভারে বোলিং করতে আসেন থমাস। ইনিংসের প্রথম বলেই নাইম ইসলামকে আউট করেন তিনি। তবে পরে দেখা যায় সেটি নো বল।
আউট থেকে বাঁচলেও ফ্রি হিটের বলে কোনো রান নিতে পারেননি নাইম। তবে পরের বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে এই বলটিও ছিল নো বল। প্রথম ৩ বলের দুটিই নো বল করে খানিকটা নার্ভাস থমাস এবার পরপর দুটি ওয়াইড বল করেন। স্কোরবোর্ডে রান তখন ১ বলে ১০।
তবে এখানেই সংগ্রাম শেষ হয়নি থমাসের। পরের বলে আবার নো বল করেন তিনি। এবার বাউন্ডারিও হাঁকান নাইম। আর তাতেই রেকর্ড বুকে নাম ওঠে থমাসের।
আরও পড়ুন: শরফুদ্দৌলার দেয়া সিদ্ধান্তে বিসিসিআই কর্তার ক্ষোভ, তবে পাশে ক্রিকেট কিংবদন্তিরা
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে এর আগে ১ বলে ১৩ রান দেয়ার রেকর্ড ছিল জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলেন থমাস। রাজার রেকর্ডে অবশ্য তার দোষের চেয়ে ব্যাটারের কৃতিত্বই বেশি। কারণে প্রথমে নো বলে ছক্কা মারার পর ফ্রি হিটেও ছক্কা মেরেছিলেন ভারতীয় ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল। আর থমাস করেছেন ৩টি নো বল আর ২টি ওয়াইড।
সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১ বলে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার এক ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচে। গাছে বল আটকে যাওয়ার ১ বলে ২৮৬ রান ওঠে। ১৮৬৫ সালে ইংল্যান্ডের পল-মল গ্যাজেট ম্যাগাজিন জানায় এই তথ্য।
আরও পড়ুন: সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের দুইয়ে দুই
প্রথম বলে ১৫ রান দেয়ার পরেও ওই ওভারে আরও একটি নো বল করেন থমাস। সেই বলেও আউট হয়েছিলেন নাইম। কিন্তু ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান তিনি। এই ভাগ্য অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১ বল পরে থমাসই ফেরান নাইমকে।
থমাসের এমন ওভারের পরেও বড় জয় পেয়েছে খুলনা। চিটাগাংকে ৩৭ রানে হারিয়েছে তারা। ম্যাচে ঐ এক ওভারই বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন থমাস।