সাকিব আল হাসান, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ অনেকেই বিপিএলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। তবে, সেটা আগের কথা। এবার বিপিএল নিয়ে উচ্চাশা ছিলো সবার। কিন্তু, সেই একই চিত্র। আসর মাঠে গড়ানোর আগেই তামিম ইকবাল বলেছেন, ব্যতিক্রম কিছু দেখেন না। দু'দিনে যা যা হলো, তাতে তামিমের কথার সঙ্গে শতভাগ একমত হবেন সবাই।
১১তম আসরের আগে কনসার্ট আয়োজনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে বিসিবি। তবে, সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে, ভুলে গেছে তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টিকিট নিয়ে ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, স্টেডিয়ামের গেইট ভেঙে ফেলাসহ দুইদিন উত্তেজনা ছিলো চরমে।
টিকিট নিয়ে লঙ্কা কাণ্ডের আড়ালে থেকে গেছে আরও কিছু বড় ঘটনা। অভিযোগ রয়েছে, প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি বেশিরভাগ দল। এমনকি জামানতের অর্থও নিশ্চিত করেনি সব ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আরও পড়ুন: বিপিএলে ১ বলে ১৫ রান দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন উইন্ডিজ পেসার
এবার হয়নি ট্রফি উন্মোচন। ছিলোনা টিম ক্যাপ্টেনদের কোনো ফটোসেশনও। সম্প্রচার মানেও খুব একটা উন্নতি আনতে পারেনি বোর্ড। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পুরানো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ফুটেজ কোয়ালিটি একেবারে সাধারণ।
বিদেশি ক্রিকেটারের মান নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে ভক্তদের মনে। এক শাহিন শাহ আফ্রিদি ছাড়া গ্লোবাল স্টার নেই বললেই চলে। নিজ দেশের ঘরোয়া লিগেও তেমন গুরুত্ব নেই, এমন ক্রিকেটারও এখানে আছেন মূল একাদশে। মানসম্পন্ন ক্রিকেটার আনতে এবারও ব্যর্থ বিসিবি।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কর্মকাণ্ড বিস্ময়কর। বিদেশি হোস্ট আনলেও ম্যাচ শুরুর পরও এসে পৌঁছায়নি ক্রিকেটারদের কিট। সেকারণেই হেলমেট আর প্যাড ঢেকে মাঠে নামতে হয় চিটাগং কিংস খেলোয়াড়দের। আবার উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের প্র্যাক্টিস জার্সিতে টস করতে নামা নিয়েও হাসাহাসি কম হয়নি।
তবে, ইতিবাচক দিকও রয়েছে। বিশেষ করে উইকেট। আগের প্রথা বদলে, এবার শুরু থেকেই রান হচ্ছে প্রতি ম্যাচে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভালো উইকেট বানানো হবে। সে কথা তিনি রেখেছেন। আবার বিভিন্ন আসরে প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, এবার শুরু থেকেই আছে ডিআরএস সহ সব টেকনোলজির ব্যবহার।