এই সম্মেলন আয়োজনে মাত্র দেড় কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে দাবি করেছেন আয়োজক সংস্থা বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
নাহিয়ান রহমান বলেন, সামিটের মধ্যদিয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘোষণা এসেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
এছাড়া ৬টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের তথ্যও জানান তিনি।
এবারের সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি এবার ৫০টি দেশ থেকে ৪১৫ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছেন। সংখ্যার দিক থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
সম্মেলনে খরচের বিষয়ে বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, সব মিলিয়ে পাঁচ কোটি টাকার মতো খরচ হয়ছে। তবে এর মধ্যে সরকারের খরচ এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বাকি অর্থ সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে খরচ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘খরচের হিসাব দিয়ে সামিটকে মূল্যায়ন করা যাবে না। বিনিয়োগের সব ক্রেডিট এই সামিটের নয়, এটা আগে থেকে চলতে থাকা আলোচনার ভিত্তিতে হয়েছে। সামিটে এসেই বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে দেবেন, বিষয়টি এমন নয়। তাই এটাকে সামিটের সফলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। সামিটের খরচ দিয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বিচার করলে হবে না।’
চৌধুরী আশিক বলেন, দেশের মানুষের সহনশীলতা, বিনিয়োগ সম্ভাবনার অবস্থা সচক্ষে দেখে বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত। সামিটের সফলতা নিয়ে বিডা চিন্তিত নয়, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
]]>