বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত সত্য কমিশনকে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।

 

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সত্য জানতে পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।  

 

সরকার তদন্ত কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

 

এ সময় জুনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়ে আশাবাদ জানান কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান।

 

আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ড / ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের পরিপত্র জারি

 

তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তদন্ত কমিশন।

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

 

আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত নাকি বিদ্রোহ, জট খোলেনি ১৬ বছরেও

 

‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেয়ার জন‍্য যোগাযোগ করেছেন’, যোগ করেন তিনি।

 

বিডিআর হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে কমিশন প্রধান বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্ন নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা। 

]]>