বিজয়ের সেঞ্চুরি ম্লান করে জিতলো আবাহনী

২ সপ্তাহ আগে
একের পর সেঞ্চুরি করেই যাচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। সম্প্রতি সেঞ্চুরির হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন এই ব্যাটার। তবুও যেন মেটেনি তার রানের ক্ষুদা, বুধবার (২৩ এ্রপ্রিল) আবাহনীর বিপক্ষে করেছেন আরও একটি সেঞ্চুরি। তবে তার সেঞ্চুরি ম্লান করে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরির পরও শেষ পর্যন্ত হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। ১০ রানে জিতে শিরোপার দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো দল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। 

 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার শাহরিয়ার কমল ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় আবাহনী। দুই ওপেনার মিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দলকে নিয়ে যান ১০০’র ঘরে। তবে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ইমনের উইকেট তুলে নেন ওয়াসি সিদ্দিকী। 

 

আরও পড়ুন: নতুন করে নিষেধাজ্ঞায় হৃদয়, চাকরি ছাড়ছেন না সৈকত

 

এরপর জিশানের আউটে আরও একটি ধাক্কা খায় তারা। নিজের প্রথম বলেই ওয়াসিকে উইকেট ছুঁড়ে দেন জিশান। চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও ফিরে যান কিছুক্ষণ পর। তবে ৩ উইকেট হারালেও কমল ও মেহেরব হোসেন অহিন মিলে দলের হাল ধরেন। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকেন কমল। 

 

তবে ইনিংসের ৩২তম ওভারে ১০০ বলে ৯৬ রান করা এই ওপেনারকে বিদায় করেন শেখ পারভেজ জীবন। এরপর ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ৪৮.২ ওভারে ২৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। গাজীর হয়ে ওয়াসি তুলে নেন ৪৯ রানে ৪ উইকেট। 

 

আরও পড়ুন: নতুন কোচ পেয়ে গেছে পাকিস্তান!

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে গাজী। রিপন মন্ডলের বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান সাদিকুর। সঙ্গীকে হারালেও তিনে নামা শামসুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। দুই ব্যাটারের কল্যাণে দলের রান দ্রতই ৫০ পার হয়। 

 

এরপর ওয়াসির সঙ্গে জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন বিজয়। তবে ১৩৫ থেকে ১৮২ রানের মাঝে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন গাজী গ্রুপের ব্যাটাররা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন এনামুল বিজয়। 

 

শেষ এক ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিলো ১৫ রান। আবু হাশিম প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলেই আউট হন। ফলে ১০ রানের জয় পায় আবাহনী। 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন