বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়নে ১৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ, আটক ২৭

৪ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম রিজিয়ন এলাকার ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্তে নিরাপত্তা, চোরাচালান দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। রিজিয়নের আওতাধীন ১৩টি ব্যাটালিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম সীমান্ত এলাকাজুড়ে দিন-রাত অভিযান, নজরদারি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে চট্টগ্রাম রিজিয়নের বিজিবি ২৭ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে এবং প্রায় ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ চোরাচালান মালামাল জব্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ির যামিনী পাড়া ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন।

 

তিনি জানান, বিজিবির চলমান অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৫ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩৩০ কেজি গাঁজা, ৮৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৪৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগল। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, বিদেশি সিগারেট, কাপড় ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে বিজিবি সদস্যরা সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়ায় ২০ দিনে ১২ শিশুর মৃত্যু

 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন বলেন, ‘চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধ দমনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। আমরা সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও কাজ করছি। বিজিবির এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

 

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চট্টগ্রাম রিজিয়নের সীমান্ত এলাকায় মাদক, অস্ত্র ও গবাদিপশু পাচার রোধে একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে ২৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক আবুল লেইচসহ বিভিন্ন স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন