নেটে নাহিদ-হাসানরা বেশ ঝামেলায় ফেলছেন শান্ত-সাদমানদের। সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটিং লাইনআপকেও স্যুইং-বাউন্সে ধসিয়ে দিতে চাইবেন ইনফর্ম দুই পেসার। গেলো কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টের উন্নতি। আর সবচেয়ে দুশ্চিন্তার টপ অর্ডার ব্যাটিং।
তবে আসছে জিম্বাবুয়ে ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুদিন। রানের বন্যা বইয়ে দেবেন ব্যাটাররা, বোলাররা ঝুলিতে পুরবেন উইকেটের পর উইকেট, একের পর এক রেকর্ড যোগ হবে সবার নামের পাশে। জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ এলেই এই কথাগুলো দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো খেললেও স্বস্তিতে থাকতে পারেন না ক্রিকেটাররা।
আড়ও পড়ুন: ১০ ক্রিকেটার নিয়ে সিলেটে শুরু হলো টাইগারদের অনুশীলন ক্যাম্প
টি-টোয়েন্টির যুগে এক্সাইটিং ক্রিকেট দেখতে চান সবাই। কিন্তু, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ যেনো ঘুম পাড়ানি। এক দলের আগুনে বোলিংয়ের বিপক্ষে আরেক দলের ক্লাসিক ব্যাটিং কিংবা চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিং-তেমন কিছুই দেখা যায়না, থাকে না রোমাঞ্চের ছিটেফোঁটাও। সেজন্যই তো এবারের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ নিয়ে যেনো আগ্রহ নেই কারও। এখন পর্যন্ত সিরিজ সম্প্রচারে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। আদৌ সিলেট ও চট্টগ্রাম টেস্ট টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে বড়সড় অনিশ্চয়তা।
তবে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা জিম্বাবুয়ে দলের ওসব নিয়ে ভাবা মানায় না। র্যাঙ্কিংয়ে কয়েক ধাপ ওপরে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে চায় সেরা খেলাটাই। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই সফরে আসছে তারা। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন ও শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা জিম্বাবুয়ে দলকে বহনকারী বিমানটির। ঢাকা থেকে পরদিন সিলেটে যাবে অতিথিরা। লাক্কাতুরায় ২০ এপ্রিল শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এরপর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট ২৮ এপ্রিল থেকে। সিরিজ শেষে ৪ মে দেশে ফিরে যাবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট টিম।