জানা গেছে, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ২ এপ্রিল সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু করে। ২৮ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও অর্ধেক কাজও সম্পন্ন হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি বন্ধ থাকায় কাঁঠালিয়া থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের পিরোজপুর, বাগেরহাটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যেতে হচ্ছে। জেলা শহরে যেতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত আকা-বাকা সড়ক ঘুরে, এতে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে।
কেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ থাকায় ট্রলার পার হয়ে সময়মতো কাঁঠালিয়া সদরে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
অটো টেম্পু চালক ফেরদৌস মিয়া জানান, ‘এখন আর সরাসরি ভাণ্ডারিয়া যেতে পারছি না, ফলে যাত্রী কমে গেছে, আয় কমছে, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মনিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘সিঁড়ির ব্যবস্থা না থাকায় কাদা-পানি মাড়িয়ে ট্রলার থেকে কূলিনারে উঠতে হচ্ছে। এতে জামা-কাপড় ও মালামাল নষ্ট হচ্ছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবা রানী মণ্ডল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না, এতে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দুলাল শরীফ বলেন, ‘কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে, কর্তৃপক্ষ সেটাও বলতে পারছে না। বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে কাজ করায় যাত্রীরা ও যানবাহন চালকরা দুর্ভোগে পড়েছেন।’ দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মাসুকুর রহমান সংস্কারকাজ পরিদর্শন করে জানান, ‘দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। আপাতত যাত্রীদের ট্রলারে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
]]>