বায়তুল মাকদিস এলাকা নিয়ে নবীজির ভবিষ্যদ্বাণী

৪ দিন আগে
মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা। ফিলিস্তিন এক পুণ্য ভূমি। অসংখ্য নবী রসুলের ভূমি। হিজরতের ভূমি। মহান আল্লাহর বরকতের ভূমি। এজন্যই মহান আল্লাহ এ ভূমিতে পাঠিয়েছেন অসংখ্য নবী-রসুল।

কিয়ামতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশের ভূমিতে। হক-বাতিলের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণী লড়াই হবে বায়তুল মাকদিস অঞ্চলে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

 

কিয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ না মুসলিমরা ইহুদিদের সঙ্গে লড়াই করবে আর মুসলিমরা তাদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদিরা যে পাথর বা গাছের পেছনেই আত্মগোপন করবে, সেই পাথর বা গাছই বলে উঠবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে ইহুদি আছে। তাকে হত্যা করো। তবে গারকাদগাছ কিছু বলবে না; কারণ এটা ইহুদিদের গাছ। (মুসলিম: ২৯২২)

 

কিয়ামতের আগে ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব ঘটবে। তারা ধ্বংস হবে মসজিদুল আকসার পাশের একটি পাহাড়ে। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

 

এরপর তারা (ইয়াজুজ-মাজুজ) অগ্রসর হতে থাকবে। তারা জাবালে খামার নামক এক পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছাবে। জাবালে খামার হলো বায়তুল মাকদিসের একটি পাহাড়। অতঃপর ঈসা (আ.) ও তার সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। ফলে মহান আল্লাহ তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজ) ঘাড়ে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন, যার শিকার হয়ে একসঙ্গে তারা সবাই মারা যাবে। (মুসলিম: ২৯৩৭)

 

আরও পড়ুন: শাওয়ালের ৬ রোজা ধারাবাহিক রাখতে হয়?

 

এ ছাড়া হাদিস থেকে বোঝা যায়, কিয়ামতের দিন এটাই হবে হাশরের ময়দান। মাইমুনা (রা.) বলেন, 

 

হে আল্লাহর রসুল, বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন এটা হবে হাশরের ময়দান। এখান থেকে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাবে। তোমরা এখানে আসো এবং নামাজ আদায় করো। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৭০৮৮)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন