বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা

২ সপ্তাহ আগে
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের ২ সুপারভাইজারসহ ৪ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের আধারা ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে এ হামলার ঘটনার ঘটে।


জানা যায়, শুক্রবার ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামের নুরুন্নবী শিকদারের মেয়ে হাদিয়া আক্তার (১৫) বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়। ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে প্রথম দফায় বলে আসেন।


বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ না করায় দুপুরে দ্বিতীয় দফায় গিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে গেলে কনে পক্ষের স্বজনরা উপস্থিত প্যানেল চেয়ারম্যান কবির হোসেন, ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সুপারভাইজার মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. লিটন আলীর উপর হামলায় চালায়। হামলায় আহত হন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের উপর আবার হামলা করে। এলাকাবাসী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে আনে।


আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে, কবুল বলার মুহূর্তে হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত!


এসব তথ্য দিয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলেয়া ফেরদৌসি বলেন, বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশের আমার অফিসের সুপারভাইজারসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে যায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে। এ সময় মারমুখী হয়ে কনে পক্ষের স্বজনরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে আমার স্টাফদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন