বান্দরবানে চুরির অভিযোগে ২ যুবককে পাশবিক নির্যাতন, আদালতে মামলা

৩ সপ্তাহ আগে
বান্দরবানে চুরির অভিযোগে দুই যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়াখোলা রোয়াজা পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে রোয়াজা পাড়া এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি তাজউদ্দিন ও উহ্লামং নামের দুই যুবককে চুরির অভিযোগে ধরে ফেলে। এরপর স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহীদুল ইসলাম তাদেরকে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে লাঠি দিয়ে পেটান এবং বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন চালান। পরে মেম্বার নিজেই তাদেরকে প্লাস দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। এ নির্যাতনের দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করে।


ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করে বলেন, 'কোনো প্রমাণ ছাড়াই মেম্বার শহীদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা আমাদের ছেলেকে পাশবিকভাবে নির্যাতন করেছে। তারা বিচার না করে আমাদের ছেলেকে থানায় পাঠিয়েছে। যদি চুরির ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আইন অনুসরণ করে পুলিশে দিতে পারতেন, কিন্তু তারা জায়গা জমিনের পূর্ব শত্রুতার কারণে আমাদের ছেলেকে নির্যাতন করেছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।'


মারধরের বিষয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, 'তাজউদ্দিন ও উহ্লামং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চুরিসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। স্থানীয়ভাবে তাদের বেশ কয়েকবার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা অপরাধ বন্ধ করেনি। গত রবিবারও চুরির ঘটনায় তাদের ধরে মারধর করা হয় এবং থানায় পাঠানো হয়। তবে প্লাস দিয়ে আঘাতের কথা মিথ্যা, তাদের শুধু ভয় দেখানো হয়েছিল।'


আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে অমানবিক নির্যাতনের শিকার ২ স্কুলছাত্র


এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা আহমদ হোসেন বাদী হয়ে বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে শহীদুল ইসলামকে (৩৬) প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ইছহাক (৫৮), শহীদুল ইসলাম (২৮), শাহ আলম (৬০), ওসমান (৪৫), সুজন (৩০), ও জিকু (২১)। তারা সবাই বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়াখোলা এলাকার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।


এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী এ্যাডভোকেট আনোয়ার বলেন, 'এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন একটি সভ্য সমাজে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি আসলেই চুরির ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাদেরকে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল, তবে তারা বিচারের নামে যা করেছে তা নিন্দনীয়।'

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন