সাদামাটা থেকে বাহারি রং-নকশা ও বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী অভিজাত আসবাবপত্র। কাঠ, স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামসহ নানা উপকরণে তৈরি ফার্নিচার বা আসবাবপত্র শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজার এখন ৩০ হাজার কোটি টাকা।
দেশের চাহিদার ৯৫ ভাগ মিটিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে দেশের ফার্নিচার। তবে ৭৫ হাজার কোটি ডলারের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা নগণ্য। এ খাতের সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে; মাত্র ১১ কোটি ডলার। এরপর থেকেই পতনের মুখে।
রফতানি বৈচিত্র্যতার অংশ হিসেবে, বিশেষ নজর দিতে ২০২৫ সালের জন্য বর্ষপণ্য নির্বাচন করা হয়েছে ফার্নিচারকে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে পহেলা জানুয়ারি, ঢাকা আন্তর্জাতিক মেলার উদ্বোধনীতে।
ইপিবির তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, বুধবার (১ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫। পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) এই মেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চলতি বছর আসবাবপত্র বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
এর আগে ঘোষণা দেয়া কোনো বর্ষপণ্যই আশার পালে হাওয়া লাগাতে পারেনি। তাই উপযুক্ত কর্মকৌশল সাজানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বর্ষপণ্য ঘোষণার পর দুই-একদিন এটি নিয়ে বেশ কথা হবে। এরপর আবার ঝিমিয়ে পড়বে। এটিকে দাঁড় করাতে হলে উপযুক্ত কর্মকৌশল হাতে নিতে হবে।
এ খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারকে দিতে হবে নীতি সহায়তা। যেমনটি দেয়া হচ্ছে প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে। হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর মাশিউর রহমান বলেন, যদি সরকার আসবাবপত্রকে বর্ষসেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেয় তাহলে নীতি সহায়তাও দিতে হবে। তাহলেই এটির যথার্থ প্রয়োগ সম্ভব হবে।
আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, বর্ষপণ্য শুধু মুখে ঘোষণা করলেই হবে না। এটির যথাযথ প্রসারে সহায়তা দিতে হবে। রফতানি বাড়াতে কাঁচামাল আমদানির জন্য তৈরি পোশাকের মত বন্ড সুবিধা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ভারত, নেপাল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশের ফার্নিচার রফতানি হয়ে থাকে।
]]>