বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

৩ সপ্তাহ আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সুদ কমানো ও ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে দেশটির শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে অন্যতম প্রধান অংশীজন চীন। পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ, কর্ণফুলী টানেল, শাহজালাল সার কারখানার মতো বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত দেশটি।

 

এবারে মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নসহ আরও কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে ৮টি সমঝোতা স্বারক সই হতে পারে। পাশাপাশি এ সফরে চারটি ঘোষণা আসতে পারে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশকে এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দিতে পারে চীন। 

 

দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরি। তিনি বলেন,

সবগুলো খাতেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফরে সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে সহায়ক হবে।

 

আরও পড়ুন: আজ চীনের বোয়াও সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

 

অবকাঠামো উন্নয়নের বড় সহযোগী চীনের দেয়া ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতির স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে গত অর্থবছর পর্যন্ত ছাড় হয়েছে ৭ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। তবে ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ও চার্জ বেশি এবং পরিশোধ সময় তুলনামূলক কম।

 

তাই প্রধান উপদেষ্টার সফরে এ বিষয়ে আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,

উন্নয়নমুখী যেসব কর্মকাণ্ড রয়েছে, সেখানে বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন পড়ে। এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। তবে সেখানে শর্ত যাতে শিথিল থাকে সে বিষয়েও জোর দিতে হবে।

 

বিদেশি ঋণের টাকায় প্রকল্প শুরুর আগে, তা অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভজনক হবে সে বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন