খেলা শেষে আম্পায়ারের একটি প্রতিবেদনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান। খেলোয়াড়দের জন্য অবশ্যপালনীয় আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। তাই আফগান এই ওপেনারকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি। সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও।
আগামী দুই বছরের মধ্যে মোট ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট হলে ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন আফগানিস্তানের এই ওপেনার। বুধবার (১৫ অক্টোবর) আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট কাটলো নেপাল ও ওমান, বাকি রইলো এক
গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ইকরাম অলিখিলের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউট হন জাদরান। তখন তার রান ছিল ৯৫, দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ৯৫ রান করে আউট হয়েছিলেন জাদরান।
টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেও তিন অঙ্ক স্পর্শ না করার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। যে কারণে হতাশা নিয়ে ধীরে ধীরে মাঠ থেকে বেরিয়ে ডাগআউটে গিয়ে রাগে ব্যাট হাত থেকে ছুড়ে ফেলেন। সামনে থাকা একটি চেয়ারে লাথিও দেন। আইসিসি বলছে, জাদরানের এই কাণ্ড খেলোয়াড় ও খেলোয়াড়-সহায়ক কর্মীদের আচরণবিধির ২.২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন ‘ক্রিকেট সরঞ্জাম বা পোশাক, মাঠের সরঞ্জাম বা স্থাপনা ও ফিটিংসের অপব্যবহারের’ সঙ্গে সম্পর্কিত।
আরও পড়ুন: রশিদকে টেস্টে বিশ্রাম দিয়ে টি-টোয়েন্টির জন্য রাখলো আফগানিস্তান
অন-ফিল্ড আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক ও আহমাদ দুররানি, তৃতীয় আম্পায়ার আকবর আলী এবং চতুর্থ আম্পায়ার ইজাতুল্লাহ সাফি জাদরানের বিরুদ্ধে লেভেল ওয়ান অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেন। জাদরান অপরাধ স্বীকার করায় ও ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম লাব্রয়ের প্রস্তাবিত শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার হয়নি।
লেভেল ১ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা, আর সর্বোচ্চ শাস্তি হলো খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট।
যখন কোনো খেলোয়াড় দুই বছরের মধ্যে চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তখন সেগুলো সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয় এবং সেই খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হন। দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট এক টেস্ট ম্যাচ বা দুটি ওয়ানডে কিংবা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে নিষেধাজ্ঞার সমান।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৫







Bengali (BD) ·
English (US) ·