বাংলাদেশের এমপি হতে প্রচারণায় নেমে সমালোচনার মুখে লন্ডনের দুই কাউন্সিলর

২ দিন আগে
নিজ দলের মনোনয়ন পাননি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করা লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের দুই কাউন্সিলর। নির্বাচনে প্রার্থী হতে তাদের প্রচার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম জিবি নিউজ জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না স্বতন্ত্র কাউন্সিলর ওহিদ আহমেদ এবং অ্যাসপায়ারের কাউন্সিলর সাবিনা খান।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেট-৬ আসনের জন্য বিএনপির প্রার্থী হতে ওহিদ আহমেদ এবং সাবিনা খান প্রচার চালিয়েছিলেন। কিন্তু দুজনেই মনোনয়ন জিততে ব্যর্থ হন।

 

জিবি নিউজের সঙ্গে আলাপকালে ওহিদ আহমেদ বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই অ্যাসপায়ার পার্টির নেতা লুৎফুর রহমানের কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পুনর্নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেননি।

 

প্রতিবেদরে আরও উল্লেখ করা হয়, সাবিনা খান বলেছেন, তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না এবং বাংলাদেশে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়মিতভাবে গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজারের জন্য নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করছেন তিনি। 

 

Two London councillors who stood in Bangladesh election fail to win nominationshttps://t.co/Q9GywIQd9M

— GB News (@GBNEWS) November 21, 2025

 

সাবিনা খানের বাংলাদেশে প্রচারণা অব্যাহত রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ওহিদ আহমেদ বলেন, ‘আমি দুই মাস ধরে এখানে আছি।’ ল্যান্সবারিতে নিজ কাউন্সিল ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই তার প্রথম অগ্রাধিকার বলেও জানিয়েছেন ওহিদ আহমেদ।

 

তিনি বলেন, ‘আমি আমার আগ্রহ প্রকাশ করেছি, অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলাম যে আমি কাউন্সিল নির্বাচনে দাঁড়াব না। তাই আমি আমার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য যেখানে আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, সেখানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।’ 

 

এদিকে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাবিনা খান বলেছেন, ‘এটা টাওয়ার হ্যামলেটসকে পেছনে ফেলে আসা নয় - এটা এখানে অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সেবা করার বিষয়।’

 

তবে এ নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখেই পড়েছেন ওহিদ আহমেদ এবং সাবিনা খান। 

 

আরও পড়ুন: ধানক্ষেতে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে ‘রিভিউ আবেদন’ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর

 

কমিউনিটি সেক্রেটারি স্টিভ রিড টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলকে চিঠি লিখে বলেছেন, লন্ডনের কাউন্সিলররা অন্য দেশে পদের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন শুনে তিনি ‘আতঙ্কিত’।

 

সাবিনা খান প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে লেবার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু গত বছর তিনি অ্যাসপায়ার পার্টিতে যোগ দেন। জিবি নিউজ বলছে, সাবিনার যেসব সভায় যোগ দেয়ার কথা ছিল, দেশের (যুক্তরাজ্য) বাইরে থাকার কারণে তিনি তার অর্ধেকেরও বেশি সভায় যোগ দেননি।

 

ওহিদ আহমেদ ২০০২ সালে প্রথমে লেবার পার্টির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন, তারপর অ্যাসপায়ার পার্টিতে যোগ দেন। কিন্তু পরে স্বতন্ত্র হিসেবে কাজ করার জন্য দল ছেড়ে দেন।

 

সংবাদমাধ্যম স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার কোনো দায়িত্ব পালনে অবহেলা করিনি। আমি আমার কাজকে গুরুত্ব সহকারে নিই। আমি কখনোই আমার বাসিন্দাদের বঞ্চিত করার মতো কিছু করিরি। তারাই আমার প্রথম অগ্রাধিকার।’

 

বর্তমানে টাওয়ার হ্যামলেটসের নেতৃত্বে আছেন মেয়র লুৎফুর রহমান, যিনি ২০১৪ সালে অবৈধ নির্বাচনী আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং পাঁচ বছরের জন্য ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিষিদ্ধ হন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর, ২০২২ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন