২০২২ সালে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে তিলক বাংলাদেশে খেলতে এসেছিলেন। একটি ম্যাচে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তিনি। কিন্তু তিন অঙ্কের স্বাদ নেওয়া হয়নি, আঙুল অচেতন হয়ে যাওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয় রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে। ‘ব্রেকফ্রাস্ট উইদ চ্যাম্পিয়ন্স’ শোয়ে গৌরব কাপুরকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ‘এ’ দলের হয়ে সিরিজ় খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। একটা ম্যাচে শতরানের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। সে সময় হঠাৎ আমার চোখ থেকে জল বেরোতে শুরু করল। হাতের আঙুলগুলো ঠিকমতো নাড়াতে পারছিলাম না। সব কিছু খুব কঠিন লাগছিল। নড়াচড়া করতে সমস্যা হচ্ছিল। নিজেকে পাথরের মতো লাগছিল। শতরান না করে উঠে যেতে হয়েছিল।’
ব্যাটাররা খেলতে নামার সময় গ্লাভস পরে খেলেন। তিলকও গ্লাভস পরিহিত ছিলেন। আঙুল শক্ত হয়ে যাওয়ায় সেটি খোলা যায়নি, গ্লাভস কেটে ফেলতে হয়েছিল। তিলক বলেন, ‘আঙুল শক্ত হয়ে যাওয়ায় গ্লাভস খোলা যাচ্ছিল না। কেটে গ্লাভস খুলতে হয়েছিল। সেই কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছিলাম আকাশ অম্বানীকে।’
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া
তিলকের আঙুল অচেতন হয়েছিল র্যাবডোমায়োলাইসিস নামক একটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে। শরীরকে কম বিশ্রাম দেওয়ায় তিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রথম আইপিএল খেলার সময়। তিলক বলেন, ‘প্রথমবার আইপিএল খেলার পর আমার শরীরিক কিছু সমস্যা হয়েছিলো। সব সময় ফিট থাকতে চাইতাম। কিন্তু পারছিলাম না। তারপর র্যাবডোমায়োলাইসিস নামে একটি অসুখ ধরা পড়ে।’
র্যাবডোমায়োলাইসিসে আক্রান্ত হলে পেশিতে যন্ত্রণা হয়ে থাকে, পেশি ক্রমশ ক্ষয় হতে থাকে। তাছাড়া দুর্বলতাও অনুভব হয়। শুরুতে গুরুত্ব না দিলেও বাংলাদেশে বিপদে পড়ে তাৎক্ষণিকভাবে সতর্ক হন তিলক। আকাশ আম্বানী ও বিসিসিআইয়ের সহায়তায় চিকিৎসার পর সুস্থ হন তিনি। তিলক বলেন, ‘এই অসুখে শরীরের পেশিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পরই আকাশ ভাইয়ের ফোন পেয়েছিলাম। উনি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমাকে পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’

৪ সপ্তাহ আগে
৯







Bengali (BD) ·
English (US) ·