মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী জোনের ডিবির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তানভীর তুষার।
রিমান্ড আবেদন বলা হয়, আসামিরা এ মামলার ঘটনার জড়িত থাকার পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামিদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে একান্তভাবে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে জড়িত অজ্ঞাতনামা চোর শনাক্ত করাসহ নগদ ৫৫ লাখ টাকা উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আসামিদের নাম ঠিকানা যাচাই করা হয়নি। আসামিরা জামিন পেলে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জড়িত অজ্ঞাতনামা চোর শনাক্ত করতে এবং চোরাই টাকা উদ্ধার এবং ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করার লক্ষ্যে আসামিদের ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: দেখামাত্র গুলির নির্দেশের বার্তা ফাঁসকারী সেই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, গত ২৯ মে রাতে মামলার বাদী জমি কেনার করার জন্য ব্যাংক থেকে ৫৫ লাখ টাকা তুলে বাসার বক্স খাটের নিচে লাগেজের ভেতরে রাখেন। গত ৩০ মে সকাল ৯টায় আসামিরা বাদীর বাসায় কাজ করতে আসেন। আসামিরা ঘরের কাজ শেষ করে বাদীকে না জানিয়ে দ্রুত চলে যান। সেদিন জমি কেনার জন্য টাকা বের করতে গেলে টাকাগুলো আর সেখানে পাওয়া যায়নি। এরপর ঘরের আশপাশের সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও টাকাগুলোর খোঁজ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বাদী জানতে পারেন আসামিরা ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-এ, রোড-১৪, বাসা-৩২৭ এর ষষ্ঠ তলার বেডরুমের খাটের নিচে থাকা লাগেজ থেকে নগদ ৫৫ লাখ টাকা চুরি করে। এরপর আত্মগোপন চলে যায় আসামিরা।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে সাদিয়া আক্তার সাথী ভাটারা থানায় মামলাটি করেন।
]]>