বর্ষা শেষ হলেও কুড়িগ্রামে থামছে না ভাঙন, দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ

৩ সপ্তাহ আগে
বর্ষা শেষ হলেও কুড়িগ্রামে নদ-নদীর ভাঙন থামছে না। সামান্য বৃষ্টি বা উজানের ঢলে দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদী আগ্রাসী হয়ে উঠছে। গত এক সপ্তাহে ভাঙনের কারণে অন্তত ৫০টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন, বারবার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও এখনো কার্যকর কোনো প্রতিকার নেই। তবে পানি নেমে গেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।

সরেজমিনে দেখা যায়, কার্তিকের মাঝামাঝি সময়েও সামান্য পানির তোড়ে নদীর পাড় বড় বড় চাপায় ভেঙে পড়ছে। একদিকে ভাঙনের কবলে পড়া বাসিন্দারা ঘর-বাড়ি ও গাছপালা সরাচ্ছেন, অন্যদিকে বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় হুমকিতে থাকা শতশত পরিবার দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।

 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের খাড়ুয়ারপাড়, সবুজপাড়া, যাত্রাপুরের বানিয়াপাড়া, নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের বল্লভের খাসসহ ফুলবাড়ী ও রৌমারী উপজেলায় নতুন করে ১০টি পয়েন্টে দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ভাঙন তীব্র হয়েছে। প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে ঘর-বাড়ি, গাছপালা এবং ফসলি জমি। এর ফলে সহায়-সম্বল হারানো মানুষ মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। বারবার ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর আকুতি, নদীর পাড় দ্রুত রক্ষা করা না হলে তাদের মাথা গোঁজার জায়গাও থাকবে না।

 

আরও পড়ুন: গাইবান্ধা / পানি কমলেও ভাঙন থামছে না, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি

 

সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের খাড়ুয়ারপাড় গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, ‘অসময়ে নদী ভাঙছে; কয়েকবার ঘর-বাড়ি সরিয়েছি। এবার বসতবাড়ি চলে গেলে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না।’

 

এদিকে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে বর্ষা শেষে স্যান্ট, সিমেন্ট ও জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া ও ঘোগাদহ ইউনিয়নের খাড়ুয়ারপাড়ে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ভাঙন কবলিত এলাকায় নদীর পানি নেমে গেলে স্যান্ট ও সিমেন্টের মাধ্যমে ভাঙনরোধে কাজ করা হবে।’

 

উল্লেখ্য, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও গঙ্গাধরের ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছে দুই সহস্রাধিক পরিবার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন