শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের একজন নারী ও অন্যজন পুরুষ। তারা দুজনই বরগুনা জেলার বাসিন্দা। একজনের বয়স ৩৬, আর অপরজনের ৪০ বছর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ভর্তি হয়েছেন সর্বোচ্চ ১০ জন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ছয়জন ও জেলা পর্যায়ে চারজন ভর্তি হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ভর্তি হয়েছেন দুজন।
আরও পড়ুন: বিদায়ী বছরে ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল দেশ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব বলছে, ২০২৫ সালে ১২ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত মোট ১৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন এবং এপ্রিলে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২,০৭৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১,৯৫৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। সে বছর তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মৃত্যু হয় এক হাজার ৭০৫ জনের।
২০২৪ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমলেও ৫৭৫ জন মারা যান এবং আক্রান্ত হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৪৮
বরিশালে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘২০২১ সালে প্রথম বরিশালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। তখন আক্রান্তদের বেশিরভাগই বরিশালের বাইরে ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে প্রায় সব রোগী স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন। এর মানে এডিস মশা বরিশাল বিভাগে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার সম্মিলিত সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও জনসচেতনতা। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা।’