ফরচুন বরিশাল
শক্তি
স্থানীয়দের বিবেচনায় নিয়ে হিসাব করলেও বরিশাল তারকাসমৃদ্ধ দল। তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম এই দলের সদস্য; এরা বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ একমাত্র যে লেগ স্পিনারকে কদর করছে, সেই রিশাদ হোসেনও খেলছেন বরিশালে।
আবার বরিশালে আছে অভিজ্ঞ ও নামেধামে ভারী বিদেশি ক্রিকেটার। দাউইদ মালান ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য, আছেন কাইল মেয়ার্স ও মোহাম্মদ নবি। তবে একটি নামে চোখ আটকে যেতে বাধ্য—শাহিন শাহ আফ্রিদি। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটায় তিনি সেরা বোলারদের তালিকায় গণনাযোগ্য। পুরো বিপিএলেই তাকে সবচেয়ে বড় তারকা বলা যায়।
আরও পড়ুন: বিপিএল শুরুর আগেই সূচিতে পরিবর্তন
দুর্বলতা
তারকায় ঠাসা বরিশালের দুর্বলতাও আছে। দলটির হয়ে ওপেন করবেন তামিম ইকবাল, উদ্বোধনী ম্যাচে তার ওপেনিং সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের জুটি বরিশালের রানের চাকা ধীর করে দিতে পারে। কেবল টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লেতে তামিমের স্ট্রাইকরেট ১১০.২, শান্তর আরও কম—১০৬.২।
দুর্বার রাজশাহী
শক্তি
রাজশাহী তারুণ্যনির্ভর দল। এখানেই আছেন জিশাল আলম, জাতীয় টি-২০ ক্রিকেট লিগে যিনি ব্যাট তলোয়ার বানিয়ে খেলেছেন, ৭ ম্যাচে সেঞ্চুরিসহ করেছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮১ রান। স্ট্রাইক রেটও অনেক উঁচু মানের—১৫৮.৭৫। প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ২২টি ছক্কাও তার ব্যাট থেকে এসেছে, বিপিএলে কি পারবেন সেই ফর্মকে সঙ্গী বানাতে?
আরও পড়ুন: বরিশাল ও রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে আজ মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল
দুর্বলতা
রাজশাহীর শক্তির তুলনায় বরং দুর্বলতাই বেশি। স্কোয়াডে তাসকিন আহমেদ বাদে বড় কোনো স্টার নেই। অভিজ্ঞতায়ও রাজশাহী অন্যান্য দলের তুলনায় পিছিয়ে। দেশি পারফরমারের যেমন অভাব, তেমনি বলতে গেলে বিদেশিও প্রায় নেই। রায়ান বার্ল, সাদ নাসিম, লাহিরু সামারাকুন; এই হলো রাজশাহীর বিদেশিদের লিস্ট।