সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে, কোথাও ধসে পড়েছে দেয়ালের অংশ। আবার কোথাও কোথাও খসে পড়ছে পলেস্তারা। এমন পরিবেশে একটি ফ্ল্যাটেই গাদাগাদি করে থাকছে কয়েকটি পরিবার।
এতো গেল বাসার ভেতরের অবস্থা, বাইরের চিত্র আরও ভয়াবহ। কোথাও জমে আছে ময়লা পানি, কোথাও ভাগাড়ে পরিণত।
শাহজাহানপুরের এ রেলওয়ে কলোনিতে রেলের কর্মচারীদের থাকার কথা থাকলেও এখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই কাজ করেন বেসরকারি খাতে। এখানকার জরাজীর্ণ ভবনে একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন তারা।
আরও পড়ুন: সাবেক সচিবদের নামে ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়ম, দুদকের অভিযান
কলোনির দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বছরের পর বছর পড়ে আছে পরিত্যক্ত হিসেবে। যা পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলেও। আবার বরাদ্দের ফ্ল্যাটে রেলকর্মীরা নিজেরা না থেকে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দেয়ায় বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।
বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে বছরে দুইবার মনিটরিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞ শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন।
এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন,
কর্মকর্তাদের জন্য বিলাসবহুল আবাসের বিপরীতে কর্মচারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ আবাসন বৈষম্যহীন দেশগড়ার পেছনে অন্তরায়।
আরও পড়ুন: সরকারি কোয়ার্টারে ভাড়া বাণিজ্য: বিধি ভাঙছেন কর্মকর্তারা, নজর নেই কারও
আর বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন,
রাজনৈতিক চাপে অনেক সময় বহিরাগতদের ফ্ল্যাট থেকে উচ্ছেদ করা যায় না। তবে এখন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, অর্থের অভাবে মেরামতও করা যাচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো।
]]>