জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলী উপজেলার সুবন্ধি খালের লোহার সেতুটি ধসে পড়ে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ১১টি গ্রামের বাসিন্দারা। শুধু এ সেতু নয়, গত দেড় বছরে জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৭টি লোহার সেতু ধসে পড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তথ্যমতে, জেলার ৩৫৭টি লোহার সেতুর সবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সেতুগুলো পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ / সেতু থেকেও দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সব মানুষের যাতাযাতে কষ্ট হচ্ছে। এপারের মানুষ ওপারে আর ওপারের মানুষ এপারে আসতে পারে না। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, সেতুর সংখ্যা অনেক। তাই সবগুলোর সমস্যা একসঙ্গে সমাধান করা যাবে না। তবে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আমরা যেখানে সুযোগ পাই, সেখানে বরগুনাবাসীর পক্ষে দাবি তুলছি। আশা করছি, শিগগিরই একটা সুষ্ঠু সমাধান আসবে।
আরও পড়ুন: একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের মানুষ
গত বছরের ২২ জুন আমতলীতে একটি সেতু ধসে মাইক্রোবাস খালে পড়ে নারী ও শিশুসহ ৯ জন নিহত হন।
]]>