বন্ধ মৌসুমে ন্যায্য খাদ্য সহায়তা চায় রাঙামাটির জেলেরা

৩ সপ্তাহ আগে
রাঙামাটির বিস্তীর্ণ কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরেই জীবন চলে হাজারও জেলের। ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই হ্রদে বছরের নয় মাস মাছ ধরে সংসার চালান তারা। তবে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও হ্রদে অবমুক্ত করা পোনার সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতি বছর তিন মাস (মে-জুলাই) জারি করা হয় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। এই সময়ে বন্ধ থাকে জেলেদের উপার্জনের একমাত্র পথ।

সরকার মাছ ধরার এই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকলেও তা যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ জেলেদের। তাদের দাবি, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জেলেরা প্রতি মাসে যেখানে ৪০ কেজি চাল পান, সেখানে কাপ্তাই হ্রদের জেলেরা পান মাত্র ২০ কেজি। এই বৈষম্যে ক্ষুব্ধ ও হতাশ জেলেরা।


সঞ্জিত দাশ নামের এক জেলে বলেন, 'বাজারে সব কিছুর দাম বেড়েছে। এই তিন মাস কীভাবে চলব বুঝি না। মাসে মাত্র ২০ কেজি চাল দেয় সরকার—এতে কি সংসার চলে? কখনও কখনও বাধ্য হয়ে চুরি করে মাছ ধরতে হয়। ধরা পড়লে ফিশারির লোকজন জাল, নৌকা কেড়ে নেয়। তখন তো আরও বিপদে পড়ি। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না।'


আরেক জেলে হৃদয় দাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা দেশের জেলেরা ৪০ কেজি চাল পায়, আর আমরা মাত্র ২০ কেজি! কেন এই বৈষম্য? আমরা সরকারের কাছে মাসে ৪০ কেজি চাল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাবি জানাই।


আরও পড়ুন: মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা


এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, জেলেদের দাবি আমরা পেয়েছি। বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়টি মৎস্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। হয়তো এ বছর তা সম্ভব হবে না, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও মাছের উৎপাদন রক্ষায় তিন মাস নিষেধাজ্ঞা মানলেও, জীবিকা হারিয়ে কষ্টে থাকা জেলেরা চায় ন্যায্য সহায়তা। তাদের আহ্বান, যেন আর কোনো বৈষম্য না থাকে সরকারি সহায়তায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন