পুঁজিবাজারের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ৬ তারিখে শুরু হয়েছিল এপ্রিলের লেনদেন। লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। এপ্রিলে শেষ কার্যদিবস শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পট পরিবর্তনেও সুদিন ফেরেনি দেশের পুঁজিবাজারে
শুধু বাজার মূলধনই নয়, কমেছে সূচকও। ৬ এপ্রিল লেনদেন শুরুর আগে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫২১৯.১৬ পয়েন্ট। এপ্রিল শেষে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯১৭.৯১ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে প্রধান সূচক কমেছে ৩০১.২৫ পয়েন্ট।
ডিএসইএস সূচক কমেছে ৭৩.৯৪ পয়েন্ট। ৬ এপ্রিল লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইএস সূচক ছিল ১১৬৮.১১ পয়েন্ট। ৩০ এপ্রিল লেনদেন শেষে সেটি দাঁড়িয়েছে ১০৯৪.১৭ পয়েন্টে।
আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে প্রায় ৯২ পয়েন্ট। ৬ এপ্রিল লেনদেন শুরুর আগে ডিএসই-৩০ সূচক ছিল ১৯১৪.৬৮ পয়েন্ট। এপ্রিল শেষে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ১৮২২.৮৮ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা দূর করতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আতাউল্লাহ নাইম বলেন, বাজারে স্বস্তি ফেরাতে কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা নেই বিএসইসির। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারকে সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কর্মপন্থা বা রোডম্যাপ নেওয়া দরকার, সেগুলো নেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএসইসির ২১ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজার বিশ্লেষক ফারুক আহমদ সিদ্দিকী বলছেন, অর্থনীতির সামগ্রিক টালমাটাল পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। সংস্কার ও সুপারিশে জোর না দিয়ে বিদ্যমান আইনের মাঝেই সমাধান খুঁজতে হবে।
বাজার সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
]]>