শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প পরিচালক মো. কামাল হোসেন এসব তথ্য জানান।
‘আলোকিত মানুষ চাই' প্রতিপাদ্য নিয়ে ঘুরে ঘুরে পাঠকের হাতে বই পৌঁছে দিতে এবং পাঠাভ্যাস বাড়াতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নিজস্ব উদ্যোগে ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির। সৃষ্টির পরে দুই দশকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির প্রায় অর্ধশত গাড়ি পাঠাগার হিসাবে দেশের জেলা-উপজেলার পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলা পেরিয়ে বিশ্বসাহিত্যের স্বাদ। তবে ২০১৭ সালে কেন্দ্রের একার পক্ষে প্রকল্পটি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। তখনই এগিয়ে আসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগার অধিদফতর। যৌথভাবে এগিয়ে চলে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির পাঠক গড়ার গাড়ি।
আরও পড়ুন: শিক্ষা-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সহজে বিলুপ্ত হয় না: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, প্রথম দফায় ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ দেয় গণগ্রন্থাগার অধিদফতর। দ্বিতীয় দফায় ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে মেয়াদের সময় ছুঁইছুঁই হলেও নতুন বরাদ্দের হদিস নেই। এজন্য, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। এমন ঘোষণায় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির পাঠকেরা হতাশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং চিঠির মাধ্যমে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি জানান তারা। অনশনে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান ও কর্মচারীরাও।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এর পরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন,
এ প্রকল্পের মেয়ার বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে এক বইমেলার উদ্বোধনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রকে সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। যদিও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পে নতুন করে অর্থায়নের বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
]]>