বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভাঙনের মুখে কুয়াকাটা সৈকত

১৮ ঘন্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। তারই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। কয়েক দিনের লাগাতার উচ্চমাত্রার ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সৈকতের একাধিক অংশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্স, মেরিন ড্রাইভ সড়ক এবং আশপাশের অবকাঠামো।

সাগরের ঢেউ স্বাভাবিক উচ্চতার দ্বিগুণ হয়ে আছড়ে পড়ছে কুয়াকাটার উপকূলে। এতে দ্রুত সরে যাচ্ছে সৈকতের বালুস্তর, সৃষ্টি হচ্ছে গভীর গর্ত, ভেঙে পড়ছে সৈকতের সৌন্দর্য এবং পর্যটন অবকাঠামো।


স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই কুয়াকাটা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবে স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।


সৈকতের জিরোপয়েন্ট ও সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কের অবস্থা বর্তমানে সবচেয়ে নাজুক। সামান্য জলোচ্ছ্বাসেই ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।


আরও পড়ুন: সমুদ্রের নিম্নচাপে উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত পটুয়াখালী


এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদেক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো রক্ষা করার চেষ্টা করছি। তবে টেকসই সমাধানের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

তীব্র ঢেউয়ে কুয়াকাটা সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: সময় সংবাদ


কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষায় আমরা একই সমস্যায় পড়ি। কেবল জিও ব্যাগ বা ব্লক ফেলে সাময়িক প্রতিরোধ সম্ভব হলেও, স্থায়ী ও টেকসই প্রকল্প ছাড়া উপকূল রক্ষা করা যাবে না।’


বঙ্গোপসাগরের এই হঠাৎ রুদ্রমূর্তি যেন আবারও স্মরণ করিয়ে দিল, দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ভাঙনের তীব্রতায় বছরের পর বছর ধরে কমছে সৈকতের দৈর্ঘ্য, হারিয়ে যাচ্ছে পর্যটনের মূল আকর্ষণ।


স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে উপকূলীয় অঞ্চলের ভাঙন রোধে সরকারি পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন জরুরি। নইলে হারিয়ে যেতে পারে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের একমাত্র ‘সানসেট পয়েন্ট’—প্রিয় কুয়াকাটা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন