মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীরা মশাল হাতে কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। মিছিল শেষে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, 'কুমিল্লা পলিটেকনিকে প্রশাসনের লোকজন আমাদের ভাইদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ভাইয়েরা রক্তাক্ত হয়। এর প্রতিবাদে আমরা মশাল মিছিল করেছি। আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরব।'
আরও পড়ুন: পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিক সমাধান চায় ছাত্রশিবির
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে পৌনে ৩ টা পর্যন্ত শহরের বনানী মোড়ে ৬ দফা দাবিতে বগুড়ার বনানী এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। বগুড়া সরকারি পলিটেকনিকসহ শহরের ৫ টি বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধে অংশ নেন। এতে করে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কসহ শহরের সাতমাথা- বনানী- সড়কে সবরকমের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থী নানা স্লোগানের পাশাপাশি টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। পরে ঢাকা ও কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে সন্ধ্যায় বগুড়া পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে মশাল মিছিলের ঘোষণা দিয়ে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে শহরের সাতমাথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহার, নিয়োগবিধি সংশোধন, সকল শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সসীমা নির্ধারণ, আলাদা 'কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়' প্রতিষ্ঠা এবং উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান।