বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বগুড়া খোকন পার্কে উদীচীর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় কিছু লোককে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টায় উদীচী বগুড়া সাতমাথায় মুক্তমঞ্চে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের আয়োজন করে। বিকেল সাড়ে ৪টায় সেখানে গেলে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে একদল লোক তাদের বাধা দেয়। এর পরে উদীচীর কর্মীরা পাশের খোকন পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য যায়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি ও পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের নেতাকর্মীরা উদীচী অফিসে হামলার চেষ্টা করলে তাদের নিবৃত করা হয়৷ এ ঘটনায় উদীচী ও ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ দুই সংগঠনই তাদের নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছে৷
আরও পড়ুন: যশোরে উদীচী হত্যাকাণ্ড: ২৬ বছরেও হয়নি কূলকিনারা, আর কবে?
বগুড়া উদীচীর জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহিদুর রহমান বিপ্লব বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীতের আয়োজনে বাধা দেয়া হয়। বারবার তাদের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অফিসেও হামলা করা হয়েছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের সংগঠক মো. সিফাতুল্লাহ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। তারাই প্রথমে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। আমরাও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি। তবে যারা ফ্যাসিবাদের আদর্শ লালন করে তাদের কোনো আয়োজন করতে দেয়া হবে না।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। হাতাহাতি হয়েছে তবে হামলার ঘটনা সঠিক নয়। এছাড়া অফিসে হামলা করতে আসলে তাদের নিভৃত করা হয়েছে।
]]>