বংশ পরম্পরায় ঈদের আনন্দ নেই ওদের

২ সপ্তাহ আগে
ভাসমান জনগোষ্ঠী বেদে সম্প্রদায়ের যাযাবর জীবন। ঈদ উৎসব এই সম্প্রদায়ের মনের মাঝে কখনোই তেমন নাড়া দেয় না। বংশ পরম্পরায় খুশির আমেজ থেকে বঞ্চিত এই জনগোষ্ঠী। খুশির ঈদের দিনটি তাদের কাছে উৎসব নয়, যেন নাম হয়ে এসেছে।

মুন্সিগঞ্জের বেদে পল্লী ঘুরে জানা যায়, ষাট বছর বয়সি আঙ্গুরি বেগমের স্বামী মারা গেছেন বহু আগেই। তিন মেয়ে, দুই ছেলেও সংসারি হয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সেও তাই নিজে ফেরি করে গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি করে খাবার যোগার করেন তিনি৷ অন্যান্য দিনের মতো ঈদের দিনটিও তার কাছে আলাদা কিছু ছিল না। পরিধেয় পোশাক আর সংসারে ঈদের লেশ মাত্র নেই।

 

তবে কিছুটা ভিন্নতা পুতুল বেগমের পরিবারে। গ্রামের বিল্লাল হোসেনকে বিয়ে করে বেদে পল্লীতেই থাকছেন। সেখান থেকেই ছয় বছরের একমাত্র ছেলে জুনায়েদ হোসেন ও স্বামীকে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত করে দেন সকাল সকাল। তবে অর্থনৈতিক দৈন্যতায় নানা চ্যালেঞ্জে তিনিও।

 

মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম বেদে পল্লীর আঙ্গুরি বেগমের মতো সবুরন ও নুপুর বেগমদের ঘরেও ঈদের তেমন আমেজ নেই। একই অবস্থা সিরাজদিখান, লৌহজং ও শ্রীনগর বেদে বহরে।

 

আরও পড়ুন: ঈদের দিন নওগাঁ সদর হাসপাতালে রোগীদের মাঝে মিষ্টান্ন বিতরণ

 

তারা জানান, আয়ের উৎস ঈদ মেলা ও গ্রামীণ মেলা তেমন নেই। ফেরি করে চুড়ি-প্রসাধনী, গ্রহস্থালি পণ্য বিক্রি কম। হাটবাজারে সাপের খেলাও বিলুপ্ত প্রায়। দখল-দূষণের কারণে খাল-বিল ছোট হয়ে আসছে। কমলাঘাট খালের অস্তিত্ব চ্যালেঞ্জে পরায় খালপারেই এখন পরিবারগুলোর বসতি। ঈদ কেবল উৎসবের নাম, বাস্তবে ধরা দেয় না কখনোই তাদের আবাসে।

 

সমাজ সেবা অধিদফতর জানিয়েছে, বেদে সম্প্রদায়কে মূলধারায় সম্পৃক্ত করার কাজ চলছে।

 

সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলাল উদ্দিন বলেন, 

আমরা তাদেরকে মূলধারায় আনার চেষ্টা করছি। সেটা নির্ভর করবে তাদের আগ্রহের ওপরও। কারণ তারা অনেক সময়ই আগ্রহী থাকেন না। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বুঝানো কষ্টকর।

 

আরও পড়ুন: ঈদ আনন্দ নেই শহীদ গণির পরিবারে

 

মুন্সিগঞ্জের প্রায় ৭০০ জনকে বেদে ভাতা এবং ৩৮৮ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি দেয় সরকার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন