মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আফনান (১৮), মাদারীপুরের কালিকিনি থানার শিকিরমঙ্গল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৪), একই এলাকার সোলায়মান মিয়ার ছেলে রাহাত (১৮) ও জিয়াউর রহমানের ছেলে আরাফাত হাসান জিহাদ (১৮)। তবে আফনানের পেটে ছুরিকাঘাতের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
জানা যায়, চাঁদপুর থেকে ফেসবুকে 'আইফোন থার্টিন প্রো বিক্রি করা হবে’ বলে একটি বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। বিজ্ঞাপনটি দেখে নজরে আসে মাদারীপুরের আল-আমিনের। পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মোটরসাইকেলে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন ৩ বন্ধু আল-আমিন, রাহাদ ও জিহাদ। দুপুর ১২ টার দিকে শহরের কালিবাড়িতে এসে পৌঁছেন ৩ বন্ধু। তাদেরকে প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিয়ে যায় চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে। সেখানে গিয়ে পেটে ছুরি ধরে প্রতারকরা তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এসময় আফনান প্রতারকচক্রের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে প্রতারকচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে মাদারীপুরের ৩ বন্ধু বর্তমানে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলতে খেলতে প্রেম, তরুণীর টাকা-স্বর্ণ হাতিয়ে নিলো দুই প্রতারক
এদিকে ভুক্তভোগী মাদারীপুরের আল-আমিন, রাহাদ ও জিহাদ বলেন, ‘আফনান প্রতারক চক্রের সদস্যদের সঙ্গে ছিল। আমাদেরকে ছুরি দিয়ে আঘাতের সময় তা আফনানের পেটে লাগে। আমাদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৩০ হাজার টাকা তারা নিয়ে গেছে। তারা প্রায় ১৭ থেকে ১৮ জন ছিল। আমাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশ এসে পড়ায় সেটা নিতে পারেনি।’
হাসপাতালের আরএমও মিজানুর রহমান জানান, আফনানের পেটের অনেকটা ভেতরে ছুরি ঢুকে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাদারীপুরের ৩ যুবক পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তবে প্রতারক তরুণ-যুবাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।