৪ সপ্তাহ আগে
৬
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনী শহরে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সদর উপজেলা দল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা দলের মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলাটি স্থগিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম স্টেডিয়ামে সোনাগাজী উপজেলা দলের সঙ্গে ফুলগাজী উপজেলার খেলা ছিল। খেলায় সোনাগাজী উপজেলা দল ৪-২ গোলে জয়লাভ করে। খেলা শেষে সোনাগাজীর দর্শকেরা হুড়োহুড়ি করে মাঠে প্রবেশ করেন। এ সময় বৃহস্পতিবারের (২৩ অক্টোবরের) ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড়রাও মাঠে ঢোকেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পুলিশের ওপর হামলায় আহত ২, আটক ১০
একপর্যায়ে সদরের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সোনাগাজীর দর্শকদের হাতাহাতি লেগে যায়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সোনাগাজী উপজেলা দলের খেলোয়াড়দের যাতায়াতে ব্যবহৃত কয়েকটি বাসের কাচ ভাঙচুর করে।
হামলায় ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড় নিশাতসহ আরও ১২ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে হামিম, রকি, আরমান, জুবায়ের, আরিফ, আবদুল্লাহর নাম জানা গেছে। তারা সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিবচরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলায় আহত ৫
এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগেন চাকমা জানান, এ ঘটনায় হামিম নামে এক দর্শক গুরুতর আহত হয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মাথায় চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সোনাগাজী থেকে আসা যাত্রীবাহী কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে একটি বাস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমাঈল হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ফেনী সদর উপজেলা দল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা দলের মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলাটি স্থগিত করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, মাঠে সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Bengali (BD) · 
English (US) ·