ঐতিহাসিক ‘ফারাক্কা দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ফারাক্কা দিবস আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যময় দিন। আজ থেকে ৪৯ বছর আগে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ডাকে লাখো জনতা ঐতিহাসিক লংমার্চে অংশ নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে যাত্রা করেছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত কর্তৃক গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়। কিন্তু তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামত উপেক্ষা করে ভারতকে পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। যা এখন বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকূলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: ফারাক্কার ভাটিতে ২৫ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ, ব্যয় ১৭০০ কোটি
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই বঞ্চনা ও দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জনদুর্দশার আশঙ্কায় বিজ্ঞ ও দূরদর্শী মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের প্রতিবাদ করেন এবং বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনেন। তখন থেকে ব্যাপক মানববিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।’
‘সুতরাং ন্যায্য পাওনা আদায়ের সংগ্রামে ১৬ মে ১৯৭৬, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে জনগণের ঐতিহাসিক মিছিল রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে অকুতোভয় সাহসী পদক্ষেপে এগিয়ে গিয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৬ মে ‘ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ যে কোনো অধিকার আদায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে’, বলেন মির্জা ফখরুল।