মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নশিপুর গ্রামে বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
তাহিয়া সুলতানা একই এলাকার জিয়া মোল্যার মেয়ে। সে চর নশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। তাহিয়া দুই ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট।
জানা যায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ ও প্রতিবেশী হায়দার মোল্যার বসতঘরের বারান্দায় একটি বস্তার মধ্যে থেকে তাহিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় হায়দার মোল্যাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে বের হতে গেলে হাজারো গ্রামবাসী তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। হায়দার মোল্যা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর গত তিন বছর আগে দেশে ফেরেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা, গণপিটুনিতে নিহত ১
তাহিয়ার বাবা জিয়া মোল্যা বলেন, ‘তাহিয়া বিকেলে খেলতে যায় বাড়ির পাশে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এলাকায় মাইকিংও করা হয়। পরে রাতে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর পুলিশও খোঁজাখুঁজি শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে আজ বুধবার বিকেলে প্রতিবেশী হায়দার মোল্যাকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানানো হয়, পরে পুলিশ তাকে আটক করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।’
আরও পড়ুন: বাগানে মিলল শিশুর মরদেহ, কানের দুলের জন্য ‘হত্যা’
অম্বিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘পুলিশের কাছে হায়দার হত্যার কথা স্বীকার করলে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে তাকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন। শিশুটির হত্যার খবর পেয়ে হাজারো জনতা জড়ো হয়ে যান, আবেগ সামলাতে না পেরে হায়দারকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, থানায় সাধারণ ডায়েরির পর পুলিশ তাহিয়াকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে হায়দার মোল্যাকে সন্দেহ করে আটক করা হয়। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
]]>