গ্রেফতার অপর আসামি একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ শেখ (৪০)।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কট কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) মো. আলী আরশাদ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১০ টাকার জন্য খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে নিহত ওবায়দুর খানকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খায়রুজ্জামান খাজার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে। এ সময় তার দুই চোখে পেরেকে ঢুকিয়ে খোঁচানো হয় এবং রগ কেটে ফেলা হয়। পরে রাত ৯ টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান ওবায়দুর।
নিহত ওবায়দুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছোট ছেলে এবং পেশায় কাঠ মিস্ত্রি ছিলেন। তার ছয় মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে চুরি করতে দেখে ফেলায় কেয়ারটেকারকে হত্যা
এ ঘটনায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে খায়রুজ্জামান খাজাকে প্রধান আসামি করে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন ওবায়দুরের মা রেখা বেগম।
তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী খ্যাত খাইরুজ্জামান খাজা। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
]]>