শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনগত রাতে নিহত ওবায়দুর রহমানের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় খায়রুজ্জামান ওরফে খাজাকে প্রধান আসামি করে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, যুবক ওবায়দুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার মা রেখা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। খায়রুজ্জামান ওরফে খাজাকে প্রধান আসামি করে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মহাসড়কে ওবায়দুরের মরদেহ রেখে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
তিনি আরও জানান, পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারব।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা দীর্ঘ ২০ বছর কানাইপুরসহ আশপাশের অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিল। বিভিন্ন সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো ওবায়দুর। এরই জের ধরে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নিতে গেলে সেখান থেকে সন্ত্রাসী খাজা ও তার বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার ওপর চালায় অমানসিক নির্যাতন। চোখ খুঁচিয়ে, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ভেঙে দেয়া হয়। তাকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, উপড়ে ফেলা হলো চোখ
এদিকে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মরদেহ নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুর বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা। বাদ মাগরিব ঝাউখোলা গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
ওবায়দুর রহমান সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছোট ছেলে। ওবায়দুর পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী ছিলেন।