প্রেসিডেন্ট ইউনকে উৎখাতে আবারও অনাস্থা ভোট

৩ সপ্তাহ আগে
দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইওলকে অভিসংশনের লক্ষ্যে আবারও অনাস্থা ভোট আয়োজন করা হবে। আগামী শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন দেশটির সংসদ সদস্যরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে সিনহুয়া।

এর আগে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। তবে ইউনের ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি ঘিরে দেশটির রাজনীতি এখন উত্তাল। যার ফলে ইউনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বড় সংকটের মুখে। গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশে আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন ইউন। তবে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে পিছু হটেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির এ নেতা।

 

পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটিতে ৩০০ এমপির মধ্যে ১৯০ জনই সামরিক আইনে বিপক্ষে ভোট দেন। সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন ইউন। তবে বিতর্কিত সামরিক আইন জারির কারণে প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসন তথা ক্ষমতাচ্যুতির দাবি তোলেন বিরোধীরা।

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় এবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান

 

সামরিক আইন জারির ঘটনায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির কাছে ক্ষমা চান ইউন। টেলিভিশনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। দেশে সামরিক আইন জারির মতো এমন ঘটনা আর কখনও হবে না।’

 

ক্ষমা চাওয়ার পরও এদিন পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোটের আয়োজন করা হয়। তবে ইউনের দলের আইনপ্রণেতারা ভোট বয়কট করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ২০০ আইনপ্রণেতার ভোটের প্রয়োজন। তবে ভোট পড়েছে মাত্র ১৯৫টি। ফলে অভিশংসন প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।

 

ভোটাভুটির পর স্পিকার উ ওন শিক বলেন, ‘আজ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এখানে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা পুরো জাতি দেখছে। বিশ্ব দেখছে। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পর্যাপ্ত আইনপ্রণেতা ভোটে অংশগ্রহণ করেননি।’ তবে ইউনকে উৎখাতে এখনও আশা ছাড়েননি বিরোধীরা। 

 

আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যাচেষ্টা দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন