ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রেম ভাঙার পরবর্তী সময়ে যে মানসিক জটিলতার মধ্য দিয়ে পার করতে হয় সে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সালমান। বলিউড অভিনেতা আরবাজ খানের পুত্র আরহান খানের একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সে তথ্য ফাঁস করেন তিনি।
কোনো রকম কথা ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে না বলে সোজাসুজি এ অভিনেতা জানান, ভাঙা মন আসলে কেটে যাওয়া ক্ষতস্থানের মত। ক্ষতস্থান সারাতে ব্যান্ডেজের প্রয়োজন হয়। ব্যান্ডেজ ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে। ঠিক হয়ে গেলে তাই ক্ষতস্থান থেকে ব্যান্ডেজ দ্রুত খুলে ফেলা প্রয়োজন।
সালমানের ভাষায়,
যদি তোমার প্রেমিকা তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তো ঠিক আছে। যেতে দাও। একেবারে জীবন থেকে বিদায় জানাও। প্রেমে বিচ্ছেদ হলে ঘরে যাও, দরজা বন্ধ করে প্রাণ ভরে কেঁদে নাও। এটা ব্যান্ডেজের কাজ দেবে। ক্ষতস্থান সারবে। আর তখনই ব্যান্ডেজ দ্রুত খুলে ফেলা প্রয়োজন। এরজন্য বন্ধ ঘরে কান্নার পর ওখানেই ব্যাপারটাকে শেষ করো। দরজা খুলে যখন বাইরে আসবে, তখন যেন পুরনো কোনও কথা তোমাকে বিচলিত না করতে পারে। একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাও। এতটাই স্বাভাবিক কথাবার্তা বলো যে, যারা তোমায় চেনে, যারা প্রেম ভাঙার কথা জানে, তারাও যেন বিস্মিত হয়।

এ প্রসঙ্গে সালমান আরও বলেন,
যখন শরীর থেকে ব্যান্ডেজ খোলো, তখন কি ধীরে ধীরে খোলো? নিশ্চয়ই নয়! এক টানে তুলে ফেলো। প্রেম ভাঙলেও তা-ই করবে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর যে ঘোষণা দিলেন বিজয়
এরপরই কোনো সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে এর কারণ খুঁজতে বলেন সালমান। বলেন, বিচ্ছেদে যদি তোমার ভুল থাকে, তবে অবশ্যই ক্ষমা চাও। ভুল করলে তা স্বীকার করতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। জীবনে থ্যাঙ্ক ইউ এবং সরি খুব স্বতস্ফূর্ত ভাবে বলা উচিত। নিজের এ দর্শন বড় ভাই অভিনেতা আরবাজ খানের ছেলে আরহান খানকেও মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে সুখবর দিলেন সালমান খান
]]>