রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপি পেশ করেন রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন, নীরেন্দ্রনাথ রায়, আব্দুল জব্বার, এবিএম মসিউর রহমান, অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম বাপ্পী, আলোকচিত্রী ফিরোজ চৌধুরী, আব্দুল হামিদ বাবু, মাহফুজার রহমান, এডভোকেট শারমিন আক্তার, অ্যাডভোকেট মামুন, সবুজ রায়, নুরুন্নবী বুলবুল প্রমূখ।
আরও পড়ুন: রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল
স্মারকলিপিতে বলা হয়- বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানী (নেসকো) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ী, দোকানপাট, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার সংযোগ কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশেষ করে বাসা-বাড়িতে গ্রাহকদের আপত্তি সত্ত্বেও নানা কৌশলে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে জবরদস্তির অভিযোগও রয়েছে। ইতিপূর্বে গ্রাহকদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নেসকো কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলকভাবে বাসা-বাড়ি প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাসা-বাড়িতে কোনো গ্রাহক যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রিপেইড মিটার সংযোগ নিতে চায় তবেই সেখানে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো গ্রাহককে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু বর্তমানে নেসকো কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশনা অমান্য করে গ্রাহকদের আপত্তি স্বত্তেও প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নানামুখী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে গাছের পাতা থেকে হচ্ছে তেল, প্রতি লিটারের দাম ৫০ হাজার!
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পূর্বে নেসকো কর্তৃপক্ষের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মতামত গ্রহণ কিংবা একটি গণশুনানীর আয়োজন করা উচিত ছিল। কিন্তু জনমতের তোয়াক্কা না করে একতরফাভাবে নেসকো কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জবরদস্তিমূলক কায়দায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। প্রিপেইড মিটার পদ্ধতিতে গ্রাহকদের আগাম টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে হবে। যতক্ষন প্রি প্রেইড কার্ডে টাকা থাকবে ততক্ষণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে। যা সেবামূলক খাতের ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক।

৩ দিন আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·