প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টার্গেটটা ছোট, কিন্তু জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৩ সপ্তাহ আগে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে জ্ঞান অর্জন করা হয়, তা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টার্গেটটা ছোট, কিন্তু জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি স্কুল, কিন্ডারগার্টেনের মতো অনেকগুলো বিকল্প তৈরি হয়েছে। ফলে অভিভাবকগণ সুবিধামাফিক নিজ সন্তানদের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পারেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেয়া হচ্ছে। অথচ, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পড়ানোর জন্য অভিভাবকদের বহু অর্থব্যয়ের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার কথা নয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের যে অবকাঠামো রয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগেরই সে অবকাঠামো নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় মানসম্পন্ন এবং তাদের নিয়মিত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।’


উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কর্মঘণ্টা ঠিক রেখে প্রধান শিক্ষকরা রুটিন মডিফাই করতে পারবেন। শহর ও গ্রামে কোন সময়ে পাঠদানের সময় নির্ধারণ করলে ভালো হয়, সেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে হলে, শনিবার খোলা রেখে সেটি কাভার দেয়া যেতে পারে।’


আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ‘আইকিউ টেস্ট’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ: গণশিক্ষা উপদেষ্টা


‘বছরে মোট কর্মদিবস মাত্র ১৮৫ দিনের মতো, এরমধ্যেও অনেক দিন বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়। তাই স্কুল শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, স্কুল চলাকালীন তারা যেন নিজেদের অন্য কাজে নিয়োজিত না করেন।’


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘স্কুলের ছুটি কমানোর ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার চেষ্টা করবো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টার্গেটটা ছোট, কিন্তু তা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে একজন শিক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করে গড়ে তোলা হয়। উদ্দেশ্য থাকে শিক্ষার্থী যেন তার নিজের ভাষায় পড়তে, মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারে।’


ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন