প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর যুবককে কুপিয়ে জখম

৩ সপ্তাহ আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করায় এক যুবক ও তার মেয়েকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল আসামিরা। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ওই যুবককে প্রকাশ্যে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের রিফুজিপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।


আহত যুবকের নাম মো. ফয়সাল রহমান সোহেল । তিনি উপজেলার বসনীটোলা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।


আহত সোহেল জানান, তার আপন ভাই ফয়েজ রহমান সুজন ও চাচা নেতাউর রহমান তাদের বাবার সম্পত্তি জবরদখল করতে গিয়ে ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট তাকে ও তার ছয় বছরের মেয়েকে অপহরণ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় তার সাবেক স্ত্রী সায়লা সারমিন শোভা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও অপহরণ আইনে মামলা করেন। মামলায় ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গোমস্তাপুর আমলী আদালতের বিচারক সারমিন খাতুন অভিযুক্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


সোহেলের দাবি, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই আসামিরা এবং তাদের সহযোগীরা তাকে ও তার মেয়েকে নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর সন্ধ্যায় নিজের ও মেয়ের নিরাপত্তা এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বাতেন খাঁর মোড়ের একটি অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।


আরও পড়ুন: কুপিয়ে জখম, অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসকসহ কেন্দ্রে নেয়া হলো ২ পরীক্ষার্থীকে!


সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে মামলার প্রধান আসামি ফয়েজ রহমান সুজন ও চাচা নেতাউর রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আনোয়ার মাস্টারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত রিফুজিপাড়া মোড়ে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা সোহেলের হাত-পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়।


ফয়সাল রহমান আরও অভিযোগ করেন, তার বাবা মজিবুর রহমানের সব সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ করছে ভাই ফয়েজ রহমান। সম্পত্তির হিসাব চাইতে গিয়ে তিনি ও তার মেয়ে অপহরণ হন। এ নিয়ে মামলা করায় আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধেও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তারা। এমনকি বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানির সময় তার প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


এই বিষয়ে অভিযুক্ত আনোয়ার মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীন বলেন, হামলার ঘটনার পর আহত ফয়সাল রহমান সোহেল আমাদের ফোনে জানান। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন