মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। এটিকে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মাদকবিরোধী অভিযানের সর্বশেষ অভিযান বলে জানান তিনি।
এই হামলা এমন সময়ে ঘটল, যখন ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ক্যারিবীয় অঞ্চলে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্যারিবীয় এলাকায় মার্কিন রণতরী পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলার আরও কাছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, উদ্দেশ্য কী?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে হেগসেথ বলেন, ‘সোমবার তিনটি হামলার পর মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ একমাত্র জীবিত ব্যক্তির সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চারটি জাহাজ পরিচিত মাদক পাচার রুট ধরে চলছিল এবং সেগুলোতে মাদকদ্রব্য বহন করা হচ্ছিল।’ তবে এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানাননি।
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে লাতিন আমেরিকার পথে মার্কিন রণতরী
এ নিয়ে ক্যারিবীয় সাগরে ১১টি হামলা চালালো মার্কিন বাহিনী। এসব হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। গত সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় সাগরে নৌযান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন বাহিনী। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এসব নৌযান ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ‘মাদক-সন্ত্রাসী হুমকি’র অংশ।
ক্যারিবীয় সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেনেজুয়েলার নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ শামিল বলে অভিহিত করে এই হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। কিন্তু কোনো নিন্দা ও সমালোচনাই পাত্তা দিচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·