প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

২ সপ্তাহ আগে
যমুনা অভিমুখে পদযাত্রার সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হমলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের কাছে এসে এই দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

 

এ সময় ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

 

এর আগে রাতে দাবি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৈঠক শেষে ফাওজুল কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এরজন্য ক্ষমা চাইবেন পুলিশের প্রতিনিধি।’

 

আলোচনার জন্য সরকারের দরজা খোলা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কথায় কথায় যমুনা অভিমুখে যাত্রা অনভিপ্রেত।’

 

প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকারের গঠিত কমিটির বাকি পাঁচ সদস্যকে নিয়ে আগামীকাল আবারও বৈঠক হবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।

 

আরও পড়ুন: প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক

 

এদিন পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সব সড়ক অচল হয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানেগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

 

এদিকে, সংকট সমাধানে সরকারের গঠন করা কমিটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন