আসামি নিজাম উদ্দিন পুর্বধলা উপজেলার আগিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।
রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার রাত্রা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের মেয়ে কমলা খাতুনের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন গামেন্টসে চাকরি নেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অফিস আছে, কার্যক্রম নেই!
২০২২ সনের ১৮ নভেম্বর কলমা খাতুন টঙ্গী মিলগেট এলাকায় ভাজিতা মাসুদের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ১৯ নভেম্বর বিকেলে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার খলিসাউড়া ইউনিয়নের পাবই দাসপাড়া বালুচড়া বাজারের কাছ থেকে পেটে ক্ষতসহ তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পরে কমলার বড় ভাই নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে পূর্বধলা থানায় মামলা হত্যা দায়ের করেন।
এরপর পিবিআই তদন্ত করে পুর্বধলা উপজেলার আগিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিনকে (৩৩) গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিসহ সকল তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২৩ সনের ৩১ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রোববার দুপুরে বিচারক আসামি নিজাম উদ্দিনকে ফাঁসিতে মৃতুদন্ডাদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবুল হাশেম। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামসুদ্দিন আহমেদ।
]]>