পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু: শেষ কী বার্তা দিলেন বিশ্বকে

৩ সপ্তাহ আগে
ইতিহাসের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) ৮৮ বছর বয়সে তিনি মারা যান। এর আগে দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলেন এবং হাসপাতালে কাটিয়েছেন ক্যাথলিকদের এই প্রধান ধর্মীয় নেতা। এর আগে ইস্টার বার্তায় বিশ্বের প্রতি শান্তি ও স্বাধীনতার আহ্বান জানান পোপ।

রোববার (২০ এপ্রিল) ইস্টার সানডে উদযাপনের একদিন পর মারা যান পোপ ফ্রান্সিস।

 

এ সময় সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে হাজার হাজার উপাসককে ‘শুভ ইস্টার’ জানান পোপ। 

 

আরও পড়ুন:ফ্রান্সিসের পর নতুন পোপ কে হবেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া কী

 

এ সময় তিনি হুইলচেয়ারে করে বেরিয়ে এসে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে উল্লাসিত জনতার দিকে হাত নাড়িয়ে বললেন, ‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা, শুভ ইস্টার।’

 

এরপর বিশ্বের কাছে শান্তি ও স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে শেষ ইস্টার বার্তাটি দেন পোপ।  

 

ইস্টার উপলক্ষে, জেরুজালেমের পবিত্র সমাধি থেকে প্রকাশিত পোপের শেষ বার্তায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং সমগ্র বিশ্বে শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। 



পোপ ফ্রান্সিস তার ইস্টার বার্তায় বলেছেন, ‘ধর্মের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়। প্রকৃত নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াও শান্তি সম্ভব নয়।

 

পোপ বলেন, ‘যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেনকে যিশুখ্রিস্ট তার ইস্টার শান্তির উপহার দান করুন এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করুন।’

 

বার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ে, আসুন আমরা দীর্ঘ সশস্ত্র সংঘাতে জর্জরিত মিয়ানমারের জনগণকে সাহায্য করতে ব্যর্থ না হই। যারা সাহস ও ধৈর্যের সাথে সাগাইং-এ ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরের পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। যা হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এবং বেঁচে যাওয়াদের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়েছিল।


এছাড়া পোপ প্রার্থনা করেছিলেন, ‘সহিংসতা ও সংঘাতের শিকার আফ্রিকান জনগণকে, বিশেষ করে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের জনগণের প্রতি শান্তি ও স্থিতিশীলতা দান করুন।’  

 

সোমবার ভ্যাটিকান এক ভিডিও বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান নেতা পোপ ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন।

 

আরও পড়ুন:পোপ ফ্রান্সিসের বর্ণাঢ্য জীবন

 

দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসা এবং পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য জন্য প্রায়শই তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন